Header Ads

আমার জগতে আপনাকে স্বাগতম

ফিলিস্তিনের সায়িদার হাতে লেখা পুরো কুরআন | সময় লেগেছে 3 বছর

ফিলিস্তিনের সায়িদার হাতে লেখা পুরো কুরআন | সময় লেগেছে 3 বছর
 কুরআন হাতে লিখলেন- যু’দ্ধ বি’ধ্ব’স্ত দেশ ফিলিস্তিনের রামাল্লার অধিবাসী ২৪ বছরের যুবতী সায়িদা আক্কাদ পুরো কুরআনুল কারিম হাতে লিখেছেন। পুরো কুরআনুল কারিম হাতে লিখতে সায়িদার সময় লেগেছে তিন বছর। যেখানে মানুষ জীবন-মৃ’ত্যু’র সংকায় দিন কাটায়, সেখানে সায়িদার এ অসাধারণ কর্মকাণ্ড সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। জেরুজালেমের উত্তরে অবস্থিত ফিলিস্তিনের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনার শহর রামাল্লায় সায়িদা আক্কাদের বসবাস। যু’দ্ধ বি’ধ্ব’স্ত দেশ রামাল্লায় জীবন যু’দ্ধে’র সঙ্গে সঙ্গে পুরো কুরআন মাজিদ হাতে লিখার কারণেই কয়েকটি গণমাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। 
২৪ বছর বয়সী সায়িদা আক্কাদের এ কাজে ফিলিস্তিনের অধিবাসীরাসহ সমগ্র বিশ্ব অবাক। সায়িদা আক্কাদের এ অসামান্য কাজ দেখতে প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছে তার বাড়িতে। সায়িদা আক্কাদের পিতা রামাল্লায় ফলের ব্যবসা করেন। সে পরিবারের বড় মেয়ে। ২০১৪ সালে পবিত্র কুরআনুল কারিম লেখার কাজ শুরু করেন সায়িদা আক্বাদ। সে তার পড়াশুনা থেকে শুরু করে- দৈনন্দিনের সব কাজ ঠিক রেখেই পবিত্র কুরআনের পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ চালিয়ে যেতেন। তার তিন বছরের নিরলস পরিশ্রমে তার এ বিরল সম্মাননার কাজ সম্পন্ন হয়। কুরআনুল কারিম হাতে লেখা প্রসঙ্গে সায়িদা আক্কাদ জানান, শখের বশেই তিনি নিজ হাতে কুরআনুল কারিমের পাণ্ডুলিপি লিখেছেন।

এছাড়া ফিলিস্তিন ব্যাপক সমস্যা কবলিত একটি দেশ। ইসরায়িলের সঙ্গে চলছে তাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। ইচ্ছে হলেই তো আর ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। এ সুযোগে পড়াশুনা ও দৈনন্দিন কাজের পর অবসর সময়টাকে কাজে লাগানোর বিকল্প হিসেবে কুরআনুল কারিমের পাণ্ডুলিপি লেখার কাজটাকে বেছে নিয়েই কাজটি শুরু করি। যা তিন বছরে সফলতার মুখ দেখে। আল্লাহর গজবের সাক্ষী মৃ’ত সাগর ! এটাই সেই ঐতিহাসিক ‘মৃ’ত সাগর’। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘ডেড সি’ এবং আরবিতে এটি ‘বাহরুল মায়্যিত’ নামে পরিচিত। প্রায় ২০ লাখ বছর আগে এ সাগরের উৎপত্তি। জর্দান নদীর সঙ্গে এর একটি সংযোগ বিদ্যমান থাকলেও এটি মূলত একটি হ্রদ।
এসাগরের দৈর্ঘ্য ৬৭ কিলোমিটার, প্রস্থ ১৮ কিলোমিটার এবং গভীরতা ১.২৪০ ফুট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪২২ মিটার নিচে অবস্থিত এ সাগরের পশ্চিমে রয়েছে ইসরাইল ও পূর্বে জর্দান। এখান থেকে জেরুজালেম নগরীর দূরত্ব মাত্র ১৫ মাইল। ‘মৃ’ত সাগর’ নানা বিচিত্র খনিজ পদার্থে ভরা। এতে পটাশিয়াম, সালফার, ব্রোমাইন ও কলগেন রয়েছে প্রচুর। ‘মৃত সাগর’- এর পানিতে ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড ও সোডিয়াম ক্লোরাইডের  পরিমাণ যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৮ ও ৩০ দশমিক ৪ ভাগ। এ সাগরের পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৭ ভাগ। পৃথিবীর অন্যান্য মহাসাগরের তুলনায় লবণাক্ততা ৮ দশমিক ৬ ভাগ বেশি হওয়ায় এতে কোনো মাছ জন্ম নেয় না।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে রয়েছে বিপুল ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষুদ্রকায় ছত্রাক। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, সমকামিতার মতো পাপকার্যে লিপ্ত হওয়ার কারণে সডম ও গোমাররাহ নামক লোকালয় মহান আল্লাহর হুকুমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ‘বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় ছয় হাজার বছর আগের। ধ্বংস’প্রাপ্ত স্থানটি বর্তমানে ‘মৃত সাগর’। আল্লাহর নবী হজরত লুত (আ.)-এর বারবার সাবধানবাণী সত্ত্বেও সে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অবৈধ যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার অভ্যাস পরিত্যাগ করেনি। পৃথিবীর বুকে একমাত্র তারাই যৌন ক্ষুধা চরিতার্থের উদ্দেশ্যে মহিলাদের বাদ দিয়ে পুরুষদের ওপর উপগত হতো। ফলে গজব হিসেবে আল্লাহ তায়ালা এ জনপদের ৪

লাখ জনগোষ্ঠীকে বাস্তু-ভিটাসহ বিধ্বস্ত করে দেন। অবৈধ যৌন মিলন, অনৈতিক যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার মতো অমানবিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। মানবগোষ্ঠীকে অ’শ্লী’ল’তা, জি’না, ব্য’ভি’চা’র ও সমকামিতা থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন। বিশ্ব মানবতার ত্রাণকর্তা হজরত রাসুল করীম (সা.) কিশোর-বালকদের চেহারার দিকে কুদৃষ্টিতে না দেখার নির্দেশ প্রদান করেন, কারণ তাদের চেহারায় বেহেশতের হুরের দীপ্তি আছে। তিনি বলেন, ‘আমার উম্মতের ব্যাপারে যেটা সবচেয়ে বড় ভয় করি, তাহলো লুত সম্প্রদায়ের অনুরূপ পাপাচার। আমার উম্মতের মধ্যে কিছু লোক কওমে লুতের অপকর্মে লিপ্ত হবে। যখন এরূপ হতে থাকবে, দেখবে তখন তাদের ওপরও অনুরূপ

আ’জা’ব অবতরণের অপেক্ষা করছে।’ লুত সম্প্রদায়ের মতো যারা স’ম’কা’মি’তা’য় লিপ্ত হবে তাদের ওপর আল্লাহর অ’ভি’শা’প। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, জিনা, ব্যভিচার, সমকামিতা ও মাদক গ্রহণের মতো ঘৃণিত ও অশ্লীল কাজের ধারে কাছেও না যাওয়ার জন্য ইসলামে রয়েছে কঠোর হুশিয়ারি। পাপাচার কেবল নিষিদ্ধই করা হয়নি, বরং যেসব বিষয় ব্যভিচারের দিকে প্রলুব্ধ করে, তা সবই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় ইসলাম ধর্মে এগুলো গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। অপরাধ যেমন ঘৃণ্য,

শাস্তি ও তদ্রুপ কঠিন ও কঠোর। অনৈতিক যৌন সম্পর্ক ও সমকামিতার শাস্তিস্বরূপ সাম্প্রতিককালে দেখা দিয়েছে এইডস/এইচআইভি। ‘এইডস’ মানে নিশ্চিত মৃত্যু। আজ পর্যন্ত এর কোনো কার্যকর ঔষধ আবিষ্কৃত হয়নি। এ পর্যন্ত ‘এইডসে’ আক্রান্ত হয়ে গোটা দুনিয়ায় ৩ কোটি মানুষের মৃ’ত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ২১ হাজার মানুষ এইচআইভি আ’ক্রা’ন্ত অর্থাৎ প্রতি এক লাখে ১৬ জন এইচআইভি জীবাণু বহন করছে। এইচআইভি সংক্রমণের প্রধান কারণ হচ্ছে অবৈধ যৌন মিলন। এগুলো থেকে বাচার একমাত্র উপায় হচ্ছে কুরআনের পথে চলা। সূত্রঃ অনলাইন

No comments

Theme images by enot-poloskun. Powered by Blogger.