জাহান্নাম থেকে মুক্তির এক বিশেষ সুযোগ লাভের মাস-রমজান
জাহান্নাম থেকে মুক্তির এক বিশেষ সুযোগ লাভের মাস-রমজান
রমজান মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত- রাসুলে কারিম (সা.) বলেছেন :'যখন রমজান মাস আগত হয় তখন আকাশ বা বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, সারা রমজান মাসে তা বন্ধ করা হয় না। আর দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, সারা রমজান মাসে তা খোলা হয় না, আর শয়তানকে শিকলবন্দি করা হয়' (তিরমিযি, নাসাঈ)।
মাহে রমজানকে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস ঘোষণা করে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরও বলেছেন, 'আর এটি (মাহে রমজান) এমন একটি মাস, যার প্রথম ভাগে আল্লাহর রহমত, মধ্যভাগে গুনাহর মাগফিরাত, শেষ ভাগে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি লাভ রয়েছে' (মিশকাত)।
রাসুলে কারিম (সা.) একদা শাবান মাসের শেষ দিনে সাহাবায়ে কিরামকে লক্ষ্য করে মাহে রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বলেন, 'তোমাদের প্রতি এক মহান মোবারক মাস ছায়া ফেলেছে। এ মাসে সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম একটি রজনী আছে। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো নেক আমল দ্বারা আল্লাহর সান্নিধ্য কামনা করে, সে যেন অন্য সময়ে কোনো ফরজ আদায় করার মতো কাজ করল। আর এ মাসে যে ব্যক্তি কোনো ফরজ আদায় করে, সে যেন অন্য সময়ের ৭০টি ফরজ আদায়ের নেকি লাভ করার সমতুল্য কাজ করল। এটি সংযমের মাস আর সংযমের ফল হচ্ছে জান্নাত' (মিশকাত)।
রমজান মূলত আল্লাহ-প্রেমের মাস। যারা আল্লাহকে ভালোবাসবে তারা মানুষকেও ভালোবাসবে। তাই রমজানের আরেকটি দর্শন হলো :গরিব-মিসকিনের ক্ষুধার্ত অবস্থা অনুধাবন করা। যারা রোজা রাখে, তারা ক্ষুধার্ত ব্যক্তির ক্ষুধার কষ্ট সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারে।
রমজান মাস ইমানদারের জন্য ক্ষমালাভের মাস, জাহান্নাম থেকে মুক্তির এক বিশেষ সুযোগ লাভের মাস। হাদিসে বর্ণিত- আল্লাহতায়ালা রমজান মাসে প্রতিদিন বহুসংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরোয়ানা জারি করে থাকেন।
মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য এক বার্ষিক প্রশিক্ষণ কোর্স। যার মাধ্যমে রোজাদারদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি ইমান ও আত্মবিশ্নেষণের সঙ্গে রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে' (বুখারি ও মুসলিম)।
No comments